বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আজকের আমাদের মূল আলোচনা। পাশাপাশি, আপনাদের জন্য আরও রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধ তথ্যাবলী।
তাই, আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, যাতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সম্পর্কে সকল প্রয়োজনীয় ও বিস্তারিত তথ্য সহজেই বুঝতে ও গ্রহণ করতে পারেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর হিসেবে যে কাজটি শীর্ষে রয়েছে, তা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এই সেক্টরের ব্যাপ্তি অনেক বিশাল এবং এর ভেতরে রয়েছে SEO (Search Engine Optimization), Social Media Marketing (SMM), Google Ads, Email Marketing, এবং Content Marketing-এর মতো সাব-ক্যাটাগরি, যেগুলোর প্রতি প্রতিনিয়তই ক্লায়েন্টদের আগ্রহ বাড়ছে। বর্তমান সময়ে যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা ও সার্ভিসের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
তাই যে কোনো কোম্পানি চায় তাদের ওয়েবসাইট, অ্যাপ কিংবা ব্র্যান্ড বেশি বেশি মানুষ জানুক এবং তাদের পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পাক। এই প্রয়োজন থেকেই ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? তারা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনলাইন মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করেন, টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করে কনটেন্ট, বিজ্ঞাপন ও SEO র্যাংকিং-এর মাধ্যমে রেজাল্ট এনে দেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন সব থেকে বেশি ডিমান্ডেবল?
- কম খরচে বেশি রেজাল্ট: ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং-এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক সস্তা, তবে টার্গেট রিচ বেশি।
- উন্নত বিশ্লেষণ ও মাপার সুবিধা: Google Analytics, Facebook Pixel ইত্যাদির মাধ্যমে সহজে বুঝা যায় কী কাজ করছে, আর কী করছে না।
- আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের চাহিদা: Fiverr, Upwork, PeoplePerHour সহ প্রায় সব মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং টপ-৩ ডিমান্ডিং কাজের মধ্যে থাকে।
- রিমোটলি স্কেল করা যায়: শুধু নিজে না, টিম বানিয়ে এজেন্সি লেভেলেও কাজ করা যায়।
কাদের জন্য উপযুক্ত?
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? এই কাজটি উপযুক্ত যারা প্রযুক্তি, বিশ্লেষণ, কনটেন্ট ও মানুষের মনস্তত্ত্ব বুঝতে আগ্রহী। কেউ যদি সঠিক গাইডলাইন ও প্র্যাকটিস ফলো করে, তাহলে মাত্র ৩-৬ মাসের মধ্যেই একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে ওঠা সম্ভব।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যদি আপনি সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডযুক্ত, ইনকাম সম্ভাবনাময় ও ভবিষ্যৎনির্ভর কাজ শিখতে চান, তাহলে নিঃসন্দেহে ডিজিটাল মার্কেটিংই আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে কোনো অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্যের জন্য কাজ করে টাকা আয় করা। এই কাজ করতে হলে অবশ্যই কোনো একটি নির্দিষ্ট স্কিল বা দক্ষতা থাকা দরকার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত সব স্কিলের মধ্যে কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি? সহজভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় এমন কিছু কাজ আছে যেগুলোর জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার প্রজেক্ট পোস্ট হয় বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে।
এসব কাজ যারা পারে, তারা খুব সহজেই ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পায় এবং ভালো ইনকাম করতে পারে। বর্তমানে যেসব কাজের সবচেয়ে বেশি চাহিদা আছে তার মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েবসাইট বানানো, কনটেন্ট লেখা, ভিডিও এডিটিং, এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা। যেমন, একজন অনলাইন ব্যবসায়ীর যদি একটা সুন্দর লোগো লাগে, তাহলে সে গ্রাফিক ডিজাইনার খোঁজে। কিংবা কেউ যদি একটা অনলাইন শপ খুলতে চায়।
তাহলে সে একজন ওয়েব ডেভেলপারের সাহায্য চায়। আবার অনেকেই ব্লগ বা প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজে। এভাবেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজন হয়। এইসব স্কিল আপনি ঘরে বসেই ইউটিউব, অনলাইন কোর্স বা গাইডলাইন অনুসরণ করে শিখতে পারেন। অনেকে আবার একাধিক স্কিল একসাথে শিখে ক্লায়েন্টদের আরও ভালো সার্ভিস দিয়ে বেশি ইনকাম করছে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে চাইলে আপনাকে এমন স্কিল বেছে নিতে হবে যার চাহিদা বেশি, প্রতিযোগিতা কম, এবং যেটা আপনি ভালোভাবে শিখে ক্লায়েন্টকে রেজাল্ট দিতে পারবেন। তাহলে আপনি সহজেই কাজ পাবেন এবং দীর্ঘ মেয়াদে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যেসব কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট স্কিল প্রতিনিয়ত ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি প্রজেক্ট পাচ্ছে। এই কাজগুলো হলো: গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স।
১. গ্রাফিক ডিজাইন
যে কোনো অনলাইন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং এর জন্য গ্রাফিক ডিজাইনার অপরিহার্য। লোগো ডিজাইন, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, UI/UX – সব কিছুতেই দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনারদের প্রয়োজন হয়। Fiverr ও Upwork-এ এই ক্যাটাগরিতে প্রতিদিন হাজার হাজার জব পোস্ট হয়।
২. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা আছে ওয়েবসাইট বানানোর কাজে। Shopify, WordPress, Laravel, React JS – এসব টেকনোলজিতে যারা দক্ষ, তাদের জন্য কাজের অভাব নেই। ছোট থেকে বড় সব প্রতিষ্ঠান চায় একটি আধুনিক, SEO Friendly ওয়েবসাইট, আর সেজন্য দরকার হয় প্রফেশনাল ডেভেলপার।
৩. কনটেন্ট রাইটিং
যেকোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগের প্রাণ হলো তার কনটেন্ট। ব্লগ পোস্ট, SEO আর্টিকেল, প্রোডাক্ট রিভিউ, স্ক্রিপ্ট রাইটিং ইত্যাদির কাজের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যারা ইংরেজিতে বা বাংলায় দক্ষ কনটেন্ট লিখতে পারেন, তারা অনায়াসে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?
৪. ভিডিও এডিটিং
ভিডিও মার্কেটিংয়ের যুগে ভিডিও এডিটরদের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম রিল, কর্পোরেট ভিডিও, ট্রেলার – এসবের জন্য প্রতিদিন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ আসে।
৫. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ক্লায়েন্টরা তাদের সময় বাঁচাতে এবং কাজ সহজ করতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয়। এতে ডেটা এন্ট্রি, ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ক্লায়েন্ট সাপোর্ট, অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেট করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে কোন স্কিলের চাহিদা কেমন। আজকের দিনে সর্বোচ্চ চাহিদাসম্পন্ন কাজগুলো হচ্ছে: গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। আপনি যদি এর যেকোনো একটি ভালোভাবে শিখতে পারেন, তবে ইনশাআল্লাহ ফ্রিল্যান্সিং-এ আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে এশিয়া ও বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করছে।বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সিং রিপোর্ট ও মার্কেটপ্লেসের ডেটা অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ফ্রিল্যান্সিং আয়করী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রাপ্ত মোট আয়ের দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে ৬ষ্ঠ বা ৭ম স্থানে রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer-এ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা কার্যত নিয়মিত শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় থাকেন। ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে শক্তিশালী, যেখানে প্রায় ৫০ লক্ষেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার সক্রিয় রয়েছেন। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক নতুন ফ্রিল্যান্সার এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দিচ্ছে।
আয়ের দিক থেকে, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা গড়ে মাসে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ মার্কিন ডলার আয় করেন, তবে দক্ষ ও অভিজ্ঞরা হাজার ডলারেরও বেশি ইনকাম করতে সক্ষম। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ ও ফ্রিল্যান্সিং সহায়ক বিভিন্ন প্রকল্পের ফলে দেশের এই খাত দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে পরিণত হচ্ছে।
এতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও যুবসমাজের জন্য সুনিশ্চিত ভবিষ্যত গড়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাজের মান ও দক্ষতা যথেষ্ট প্রশংসিত। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং আয়ের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে, ৬-৭ নম্বর অবস্থানে থেকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। দেশের তরুণ প্রজন্ম দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টরা কাজের সুযোগ ও প্রজেক্ট আদান-প্রদান করেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? এই মার্কেটপ্লেসগুলো হলো ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পাওয়ার অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম। তবে, সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসটি হলো Upwork।
কেন Upwork সবচেয়ে বড়?
Upwork হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেখানে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার নিবন্ধিত আছেন। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায় – যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি। Upwork-এ প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন কাজ পোস্ট হয় এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্টদের প্রজেক্ট পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ও বৈশ্বিক উপস্থিতি
Upwork-এ বর্তমানে প্রায় ১৮-২০ মিলিয়ন (কোটি) ফ্রিল্যান্সার নিবন্ধিত, যাদের মধ্যে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররাও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছেন। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা Upwork-এ সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকে এবং তাদের দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার কারণে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ভালো রেট পায়।
অন্যান্য মার্কেটপ্লেস
Fiverr, Freelancer, Guru ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসও জনপ্রিয়, কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ও কাজের পরিমাণে Upwork-এর তুলনা খুব কম। Fiverr মূলত ছোট কাজ বা “গিগ” বেজড প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কাজের ধরন ও আকার আলাদা। Freelancer মার্কেটপ্লেসেও অনেক কাজ পাওয়া যায়, তবে Upwork এর মতো বিশাল ক্লায়েন্ট বেস নেই।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? সংক্ষেপে, ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হলো Upwork। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্লায়েন্টের কাজ পেয়ে আয় করতে পারেন। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদেরও Upwork-এ ভালো অবস্থান ও খ্যাতি রয়েছে, যা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু ও গড়ে তোলার জন্য আদর্শ প্ল্যাটফর্ম।
ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি হলো কাজের পর টাকা নেওয়ার নিরাপদ ও সহজ মাধ্যম পাওয়া। আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্ট থেকে অর্থ গ্রহণ করার জন্য নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত পেমেন্ট পদ্ধতি থাকা খুবই জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সাররা মূলত কয়েকটি মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন।
১. পেপাল (PayPal)
বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম পেপাল। যদিও বাংলাদেশে অফিসিয়ালি পেপাল সার্ভিস উপলব্ধ না থাকলেও অনেক ফ্রিল্যান্সার বিকল্প উপায়ে পেপাল একাউন্ট থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করে। পেপাল থেকে টাকা নিয়ে নিজের দেশের ব্যাংকে আনা কিছুটা জটিল হলেও, এর সাপোর্ট থাকা এবং বিশ্বস্ততার কারণে এটি এখনও জনপ্রিয়।
২. পেপাল বিকল্প (Payoneer)
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে পেপোনিয়ার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় পেমেন্ট মাধ্যম। পেপোনিয়ার মাধ্যমে আপনি আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্ট থেকে টাকা গ্রহণ করে নিজের বাংলাদেশি ব্যাংক একাউন্টে সহজেই টাকা ট্রান্সফার করতে পারেন। এছাড়াও পেপোনিয়ার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়। অনেক ফ্রিল্যান্সার পেপোনিয়ার মাধ্যমে তাদের আয়ের প্রধান উৎস বজায় রেখেছেন।
৩. স্ক্রিল (Skrill)
স্ক্রিল হলো আরেকটি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে, যা অনেক আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সার ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? যদিও বাংলাদেশে এর ব্যবহার তুলনামূলক কম, তবুও যারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন তাদের মধ্যে জনপ্রিয়।
৪. বাংলাদেশি ব্যাংক একাউন্ট (বিকাশ, নগদ)
অবশেষে, বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্ট মাধ্যম যেমন বিকাশ, নগদ ইত্যাদি অনেক ফ্রিল্যান্সার ব্যবহার করে থাকেন। ক্লায়েন্ট থেকে পেপোনিয়ার বা পেপালের মাধ্যমে টাকা আসার পর এখান থেকে স্থানীয় ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করে বিকাশ বা নগদে আনার মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন কাজ সহজ হয়।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পেমেন্ট সংগ্রহের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো পেপোনিয়ার (Payoneer)। এর সহজ অ্যাক্সেস, দ্রুত টাকা উত্তোলনের সুবিধা এবং বিশ্বস্ততা এই মাধ্যমকে বিশেষ করে তুলেছে। পাশাপাশি, পেপাল, স্ক্রিল এবং স্থানীয় ডিজিটাল ও ব্যাংকিং মাধ্যমগুলোও ব্যবহৃত হয়।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান। আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করে আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ করে দিন।
সুন্দরওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url