পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়

 পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়, বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আজকের আমাদের মূল আলোচনা। পাশাপাশি, আপনাদের জন্য আরও রয়েছে ছোট বাচ্চাদের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়।

পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
তাই, আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, যাতে আপনি সহজেই  পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে সকল প্রয়োজনীয় ও বিস্তারিত তথ্য সহজেই বুঝতে পারেন।

পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়

পেট ফাঁপা একটি অস্বস্তিকর এবং অপ্রত্যাশিত শারীরিক সমস্যা যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্যা সাধারণত পাকস্থলীতে অতিরিক্ত গ্যাস জমা, হজমের গোলমাল কিংবা ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে হয়ে থাকে। 

তবে আশার কথা হচ্ছে, বেশ কিছু কার্যকর পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো আমাদের আশেপাশেই সহজলভ্য এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে আদা। আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং হজম সহায়ক উপাদান। 

এতে থাকা জিনজেরল উপাদান গ্যাস উৎপাদন কমায় এবং হজমে সহায়তা করে। আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন – এটি পেটের ফোলাভাব কমিয়ে দেয় এবং আরাম দেয়। এরপর আছে মৌরি। 

মৌরি বীজ চিবিয়ে খাওয়া বা মৌরির পানি তৈরি করে পান করলেও পেটের অস্বস্তি কমে যায়। মৌরিতে থাকা অ্যানিথল উপাদান হজমতন্ত্রের পেশীকে শিথিল করে এবং গ্যাস নির্গমনে সাহায্য করে। জিরা আরেকটি পরিচিত ঘরোয়া উপাদান, 

যা হজমে সহায়ক এবং গ্যাস কমানোর জন্য বহু যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এক গ্লাস গরম পানিতে জিরা সেদ্ধ করে সেই পানি দিনে দুইবার পান করলে পেটের গ্যাস দ্রুত কমে। এছাড়াও, পুদিনা পাতার চা ও লেবু পানিও দারুণভাবে কাজ করে। 

পুদিনার মেন্থল উপাদান পেটের পেশিকে শান্ত করে এবং গ্যাস নির্গমনে সহায়তা করে। আর লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, ঘরোয়া ব্যায়াম যেমন যোগাসন (পবনমুক্তাসন), 

পেটের হালকা মালিশ ও হালকা গরম পানি পান করাও পেট ফাঁপা দূর করতে সাহায্য করে। তবে যদি এই ঘরোয়া উপায়গুলো কাজ না করে এবং পেট ফাঁপার সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। 

কারণ কখনো কখনো গ্যাস্ট্রিক, আলসার বা লিভার সংক্রান্ত সমস্যার কারণে পেট ফাঁপা হতে পারে। তাই সচেতন থাকুন, ঘরোয়া উপায় গ্রহণ করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ছোট বাচ্চাদের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়

ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পেট ফাঁপা খুব সাধারণ একটি সমস্যা, যা অনেক অভিভাবক প্রতিদিনই মোকাবিলা করেন। নবজাতক বা শিশু যখন নতুন খাবার খেতে শুরু করে কিংবা বুকের দুধ হজমে সমস্যা হয়, তখন পেটে গ্যাস জমে থাকে ও অস্বস্তি দেখা দেয়।

তবে আশার কথা হচ্ছে, ছোট বাচ্চাদের পেট ফাঁপা দূর করার জন্য কিছু নিরাপদ ও ঘরোয়া উপায় আছে, যেগুলো অভিভাবকরা ঘরে বসেই সহজে প্রয়োগ করতে পারেন। সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হলো খাওয়ানোর পর বাচ্চাকে ঢেকুর তোলানো। 

বুকের দুধ খাওয়ানোর পর বা বোতলের দুধ খাওয়ানোর পর বাচ্চাকে কাঁধে নিয়ে হালকা চাপ দিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দিলে গ্যাস সহজেই বের হয়ে যায়। এতে বাচ্চা আরাম পায় এবং কান্না কমে। আরেকটি উপায় হলো হালকা গরম পানির সেঁক। 

একটি পরিষ্কার কাপড় হালকা গরম পানিতে ডুবিয়ে, তা ভালোভাবে নিংড়ে নিয়ে বাচ্চার পেটের উপর আলতোভাবে সেঁক দিলে পেটের পেশি শিথিল হয় এবং গ্যাস নির্গত হয়। দিনে ২-৩ বার এটি করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। হিং (অ্যাসাফোটিডা) ব্যবহারে অনেক সময় ভালো ফল দেখা যায়। 

এক চিমটি হিং হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে তা বাচ্চার পেটে মালিশ করলে গ্যাস সহজে কমে যায়। তবে হিং ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মায়ের খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। 

মা যদি এমন খাবার খান যা গ্যাস সৃষ্টি করে (যেমন ডাল, বাঁধাকপি, মসুর), তাহলে তার দুধের মাধ্যমে তা বাচ্চার পেটে সমস্যা করতে পারে। বাচ্চাকে গা-হাত পা নাড়ানো, হালকা ব্যায়ামের মতো করে পা ভাঁজ করে ছেড়ে দেওয়া (যাকে “সাইকেলিং” বলে) তাও খুব কার্যকর। 

এতে অন্ত্রের গ্যাস বের হতে সুবিধা হয়। সবশেষে, কোনো ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি উপকার না হয় বা বাচ্চার পেট ফাঁপা দীর্ঘস্থায়ী হয়, অতিরিক্ত কান্না বা পেট শক্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

বড়দের পেট ফাঁপার ঔষধের নাম জেনে নিন

বড়দের ক্ষেত্রে পেট ফাঁপার সমস্যা সাধারণত খাদ্যাভ্যাস, অজীর্ণতা, স্ট্রেস অথবা হজম সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হয়ে থাকে। যদিও ঘরোয়া উপায়ে অনেকাংশে এই সমস্যা নিরসন সম্ভব, কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু ঔষধ ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে যখন গ্যাস এবং ফাঁপার কারণে অস্বস্তি বাড়ে।

চলুন, বড়দের পেট ফাঁপার ঔষধের নাম এবং তা ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। প্রথমেই উল্লেখযোগ্য একটি ঔষধ হলো সিমেথিকোন (Simethicone)। এটি অতি দ্রুত গ্যাস নির্গমনে সাহায্য করে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে। 

সিমেথিকোন গ্যাসের বুদবুদ ভেঙে দেয়, ফলে তা সহজে বের হয়ে যেতে পারে। এটি ট্যাবলেট, চিউয়েবল ও সাসপেনশন আকারে পাওয়া যায়। এরপর আসে অ্যান্টাসিড জাতীয় ঔষধ যেমন ওমিপ্রাজল (Omeprazole), র্যানিটিডিন (Ranitidine) কিংবা প্যান্টোপ্রাজল (Pantoprazole)। 

এইসব ঔষধ পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নির্গমন কমিয়ে দেয় এবং গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিড-সংক্রান্ত পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট-ও পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

যেমন, Lactobacillus বা Bifidobacterium জাতীয় উপাদানযুক্ত ক্যাপসুল হজম শক্তি উন্নত করে ও অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে এসব ঔষধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ সব ওষুধ সবার শরীরের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। 

বিশেষ করে যারা আগে থেকে লিভার বা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ঔষধ ব্যবহারে সচেতনতা দরকার। সর্বোপরি, বড়দের পেট ফাঁপার সমস্যায় ঔষধ গ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত পানি পানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রেগুলার খাবার সময়মতো খাওয়া, মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ও ধূমপান বা অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা উচিত।

নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি

নবজাতক শিশুদের গ্যাসের সমস্যা খুব সাধারণ হলেও, নতুন অভিভাবকদের জন্য এটি একটি বড় চিন্তার কারণ হতে পারে। বাচ্চা যখন কান্না করে, পেট শক্ত হয়ে থাকে এবং দুধ খাওয়ার পর অস্বস্তি প্রকাশ করে তখন অনেক সময়ই গ্যাস সমস্যা হয়ে থাকে। 

তাই প্রতিটি অভিভাবকের জানা দরকার, নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি। প্রথমত, প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর পর ঢেকুর তোলানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর কাঁধে নিয়ে হালকা করে পিঠে হাত বুলালে গিলে ফেলা বাতাস সহজে বের হয়ে আসে। 

এটি পেটে গ্যাস জমা প্রতিরোধ করে। তেল দিয়ে হালকা মালিশ করাও একটি কার্যকর পদ্ধতি। পেটের বৃত্তাকার দিকে আলতো করে ঘষে ঘষে মালিশ করলে অন্ত্রের পেশি শিথিল হয় এবং গ্যাস সহজে নির্গত হয়। আরেকটি উপকারী উপায় হলো হালকা গরম কাপড়ের সেঁক। 

একটি নরম কাপড় হালকা গরম পানিতে ডুবিয়ে তা নিংড়ে নিয়ে পেটের উপর কিছুক্ষণ রাখলে গ্যাসের চাপ কমে যায় এবং বাচ্চা আরাম পায়। নবজাতকের গ্যাস সমস্যার পেছনে মায়ের খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

মা যদি গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মসুর ডাল বা অতিরিক্ত দুধজাত খাবার খান, তা বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। 

যদি এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমস্যা না কমে এবং বাচ্চা অতিরিক্ত কান্না করে কিংবা খাওয়া বন্ধ করে দেয় তবে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, এটি কখনো কখনো অন্ত্রের জটিলতার সংকেতও হতে পারে।

বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি ঔষধ খেতে হবে

বাচ্চাদের গ্যাসের সমস্যা নিরাময়ে অনেক অভিভাবক ঔষধের বিষয়ে জানতে চান, কিন্তু শিশুদের জন্য সঠিক ও নিরাপদ ঔষধ নির্ধারণ করা অনেক জরুরি বিষয়। তাই প্রথমেই জেনে রাখা ভালো বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি ঔষধ খেতে হবে, এবং তা কীভাবে ব্যবহার করবেন।

বেশিরভাগ চিকিৎসক Simethicone Drops প্রেসক্রাইব করে থাকেন। এটি নবজাতক ও ছোট বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত নিরাপদ ও দ্রুত কার্যকর একটি ঔষধ। এটি পেটের গ্যাসের ফেনা বা বুদবুদ ভেঙে দেয় এবং পেটের চাপ কমায়। 

বাচ্চাকে খাবারের পরে অথবা ঘুমানোর আগে নির্দিষ্ট ডোজে এই ড্রপ দেওয়া যেতে পারে। আরেকটি কার্যকর উপায় হলো প্রোবায়োটিক ড্রপ, যেমন BioGaia Drops বা ColicAid। এগুলো অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।


তবে এই সমস্ত ঔষধ ব্যবহারের আগে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক। কারণ সব ঔষধ সব বাচ্চার শরীরের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। ঔষধের পাশাপাশি অভিভাবকরা চাইলে কিছু ঘরোয়া উপায়ও অনুসরণ করতে পারেন, 

যেমন পেটের মালিশ, ঢেকুর তোলানো, হালকা সেঁক, ইত্যাদি। এতে অনেক সময় ঔষধ ছাড়াও গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

পেট ফাঁপা দূর করার দোয়া জেনে নিন

পেট ফাঁপা যখন বারবার বা অতিরিক্ত মাত্রায় হয়, তখন মানসিক অস্বস্তিও দেখা দেয়। ইসলাম ধর্মে এমন অনেক দোয়া রয়েছে, যেগুলো পড়লে মনের শান্তির পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতাও ফিরে আসে। তাই অনেকেই জানতে চান পেট ফাঁপা দূর করার দোয়া জেনে নিন, যা সহজে পড়া যায় এবং কার্যকর।

সবচেয়ে সহজ ও পবিত্র দোয়া হলো সূরা ফাতিহা। এটি কোরআনের মূল সারাংশ হিসেবে বিবেচিত এবং শরীর ও আত্মার জন্য আরোগ্যকারী। পেট ফাঁপা হলে সূরা ফাতিহা পাঠ করে পানির ওপর ফুঁ দিয়ে তা পান করলে অনেকেই উপকার পেয়ে থাকেন। 

আরেকটি প্রভাবশালী দোয়া হলো: "আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাস সিহ্হাতা ওয়াল আফিয়াতা ওয়াল মু’আফাতা ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ" অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে সুস্থতা, নিরাপত্তা এবং মুক্তি কামনা করছি। 

এই দোয়াটি নিয়মিত পড়া, নামাজের পর এবং ঘুমানোর আগে পড়লে শুধু পেট ফাঁপা নয়, অন্যান্য অসুস্থতা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় ইনশাআল্লাহ। 

তবে দোয়া পড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ওয়াক্তের নামাজ আদায় এবং শুদ্ধ মনে আল্লাহর কাছে সুস্থতা চাওয়া এইগুলো নিয়মিত পালন করলে মানসিক শান্তিও থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার দোয়া জেনে নিন

গর্ভাবস্থা একটি সংবেদনশীল সময়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন স্বাভাবিক। এ সময় অনেক নারীর পেটে ব্যথা, চাপ বা অস্বস্তি হতে পারে, যা মায়ের পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুর জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়। তাই অনেকে জানতে চান গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার দোয়া জেনে নিন। 

ইসলামে শারীরিক কষ্টের সময় আল্লাহর স্মরণ একটি পবিত্র অভ্যাস। এই সময় যেকোনো ব্যথা দূর করতে পাঠ করা যেতে পারে সূরা ফাতিহা এবং সূরা ইখলাস। এগুলো শরীর-মনকে শান্ত রাখে এবং আত্মবিশ্বাস জোগায়। 

সবচেয়ে প্রসিদ্ধ একটি দোয়া হলো: "আল্লাহুম্মা রাব্বান নাস, আযহিবিল বা’স, ইশফি, আনতাশ শাফি, লা শিফা’আ ইল্লা শিফাউকা, শিফাউল লা ইউগাদিরু সাকামা" অর্থ: হে মানুষের প্রভু! কষ্ট দূর করুন, আপনি সুস্থতা দিন, আপনিই সুস্থকারী, আপনার সুস্থতা ছাড়া কোনো আসল শিফা নেই। 

এমন সুস্থতা দিন যা কোনো ব্যাধি রাখে না। এই দোয়া পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে তা পান করলে এবং নিয়মিত পড়লে অনেকেই মানসিক শান্তি ও দেহিক আরাম পেয়ে থাকেন। সতর্কতা হিসেবে বলা যায় যদি ব্যথা তীব্র হয় বা রক্তপাতসহ কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দোয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করে আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় এই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সুন্দরওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url