সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আজকের আমাদের মূল আলোচনা। পাশাপাশি, আপনাদের জন্য আরও রয়েছে গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধ তথ্যাবলী।
তাই, আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, যাতে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে সকল প্রয়োজনীয় ও বিস্তারিত তথ্য সহজেই বুঝতে পারেন।
সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
ইন্টারনেট দুনিয়ায় গুগল এডসেন্স একটি পরিচিত নাম। তবে অনেকেই এখনও সঠিকভাবে জানেন না সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় আসলে কীভাবে কাজ করে বা কোথা থেকে শুরু করতে হবে। প্রথমেই বলি, গুগল এডসেন্স দিয়ে আয় করা কঠিন কিছু নয়, তবে কিছু নিয়ম-কানুন,
ধৈর্য এবং পরিশ্রম অবশ্যই প্রয়োজন। যদি আপনি একবার পুরো প্রক্রিয়াটি বুঝে যান, তাহলে এটি হতে পারে আপনার জন্য একটি স্থায়ী অনলাইন আয়ের উৎস।প্রথম ধাপ হলো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কনটেন্ট তৈরি করা। আপনি কি রান্না জানেন?
আপনি কি প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী? কিংবা আপনি কি ইসলামিক আলোচনায় দক্ষ? তাহলে এই বিষয়গুলো নিয়েই শুরু করুন। গুগল পছন্দ করে এমন ওয়েবসাইট যেখানে নির্দিষ্ট একটি টপিক নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো মানের কনটেন্ট প্রকাশ করা হয়।
তাই এলোমেলোভাবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লিখে সময় নষ্ট না করে একটি নির্দিষ্ট নিস (niche) বেছে নিন। এরপর দরকার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ। আপনি চাইলে Blogger বা WordPress ব্যবহার করে সহজেই একটি সাইট বানিয়ে নিতে পারেন।
এমনকি টেকনিক্যাল স্কিল না থাকলেও ইউটিউব দেখে খুব সহজেই একটি সাইট তৈরি করা যায়। ওয়েবসাইটে প্রয়োজন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেইজ যেমন: About Us, Contact Us, Privacy Policy ইত্যাদি। এগুলো না থাকলে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে সমস্যা হয়।
এরপর আপনি নিয়মিত ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করবেন। কপি-পেস্ট করা কনটেন্ট গুগল চায় না। আপনি যেন নিজে লিখেন, তথ্যভিত্তিক লেখেন এবং পাঠকদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেন এটাই মূল উদ্দেশ্য। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩টি কনটেন্ট দিন এবং প্রতিটিই যেন হয় ৭০০-১০০০ শব্দের মধ্যে।
যখন আপনি কিছুটা ভিজিটর পাচ্ছেন এবং ওয়েবসাইটে ১৫-২০টি পোস্ট হয়ে গেছে, তখন আপনি গুগল এডসেন্সে আবেদন করবেন। আবেদন করার সময় ঠিকঠাক তথ্য দিন ঠিকানা, নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা বিকাশ/রকেটের তথ্য (বাংলাদেশে wire transfer মাধ্যমে টাকা আসে)।
যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে গুগল সাধারণত ৭-১৪ দিনের মধ্যে অ্যাপ্রুভ করে। অ্যাপ্রুভ হওয়ার পর আপনি আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। আর যখনই কেউ সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে, আপনি ইনকাম করবেন। তবে ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করে ভিজিটরের অবস্থান,
কনটেন্টের মান এবং CTR-এর উপর। সুতরাং, যারা সত্যি ইচ্ছা করে কাজ করতে চান, তাদের জন্য সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় মোটেও জটিল কিছু নয়। সঠিক পথে থাকুন, ধৈর্য ধরে কাজ করুন সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।
আমরা সব সময় এমন কিছু চাই যা সহজ, সরল এবং বাস্তব জীবনে কাজ করে। তাই চলুন দেখে নেই এমন কিছু বাস্তবমুখী এবং বাস্তবায়নযোগ্য কৌশল যেগুলো অনুসরণ করলে সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় বাস্তব হবে।
১. একটি নির্দিষ্ট Niche নির্বাচন করুন
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে চাইলে প্রথম কাজ হলো আপনার আগ্রহ অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট "Niche" বেছে নেওয়া। উদাহরণস্বরূপ:
- স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
- শিক্ষা ও পড়াশোনা
- ট্রাভেল ব্লগ
- প্রযুক্তি সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল
- ইসলামিক কনটেন্ট
- রান্না ও রেসিপি
Niche ঠিক না থাকলে আপনার কনটেন্ট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে এবং কোনো একটি নির্দিষ্ট শ্রোতাবন্ধু গড়ে উঠবে না।
২. নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন
অনেকেই ভাবেন যে ইউটিউব ছাড়া Google AdSense থেকে আয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। একটি সহজ ওয়েবসাইট বা ব্লগ বানিয়েই আপনি আয় করতে পারেন।
আপনি চাইলে Blogger বা WordPress দিয়ে ফ্রিতে শুরু করতে পারেন। সাইটে নিয়মিত কনটেন্ট দিতে হবে। মনে রাখবেন, কনটেন্টই রাজা (Content is King)।
৩. ইউনিক এবং মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করুন
কপি-পেস্ট করা বা ঘুরিয়ে লেখা কনটেন্ট দিয়ে Google কখনো আপনাকে বড় কিছু দিবে না। আপনাকে এমনভাবে লিখতে হবে যেন একজন বন্ধু আরেক বন্ধুকে কথা বলছে। একদম স্বাভাবিক, সহজ এবং তথ্যবহুল।
কনটেন্ট লেখার সময় অবশ্যই SEO-র দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যেমন:
- প্রাথমিক কিওয়ার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকা
- সাবহেডিং, বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার
- অভ্যন্তরীণ লিংক এবং এক্সটার্নাল লিংক সংযোজন
৪. ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনুন (ভিজিটর)
আপনার কনটেন্ট যত ভালোই হোক, যদি কেউ সেটা না পড়ে তাহলে আয় হবেনা। তাই আপনাকে অবশ্যই:
- SEO করে Google র্যাংকে আনতে হবে
- Facebook, WhatsApp, Telegram, Quora-তে শেয়ার করতে হবে
- Pinterest, Reddit, Medium ইত্যাদিতেও ট্রাফিক ডাইভার্ট করতে হবে
৫. গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলে ভেরিফাই করুন
আপনার ব্লগে যখন অন্তত ১৫– ২০টি মানসম্মত পোস্ট থাকবে, এবং কিছুটা ভিজিটর আসতে শুরু করবে, তখনই আপনি এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার পর গুগল আপনার সাইট রিভিউ করে এবং অনুমোদন দিলে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয়।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি
অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে “গুগল এডসেন্স” নামটা একবার হলেও নিশ্চয়ই শুনেছেন। কিন্তু অনেকেই বিভ্রান্ত থাকেন যে, গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি, এটা কীভাবে কাজ করে বা কেন এটা দরকার। আজ আমরা খুব সহজ করে এই বিষয়টি বুঝে নিবো।
সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় , সোজা কথায়, গুগল এডসেন্স একাউন্ট হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি গুগলের কাছ থেকে অনুমতি পান আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য। গুগল বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্র্যান্ডের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন নেয়,
আর সেই বিজ্ঞাপনগুলো আপনি আপনার কনটেন্টে ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিবার কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইটে বা ইউটিউব ভিডিওতে সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, তখন আপনি কিছু পরিমাণ টাকা আয় করেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন,
এটা এমন এক ধরনের ইনকাম সোর্স যেখানে আপনি কনটেন্ট তৈরি করছেন, আর গুগল সেই কনটেন্টের মাধ্যমে আপনাকে ইনকাম করতে দিচ্ছে। তবে সবকিছুর আগে আপনাকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট মূলত দুই ধরনের হয়
১) হোস্টেড অ্যাকাউন্ট: এটি সাধারণত ইউটিউব বা Blogger-এর মাধ্যমে তৈরি হয়। এই অ্যাকাউন্টে আপনি শুধু সেই নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে (যেমন ইউটিউব) আয় করতে পারবেন।
২) নন-হোস্টেড অ্যাকাউন্ট: আপনি যদি নিজস্ব ডোমেইন বা ওয়েবসাইট দিয়ে এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করান, তাহলে এটি হয়। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি বিভিন্ন সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এখন প্রশ্ন হলো, এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কি কিছু টাকা লাগে?
না ভাই, গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে কোনো টাকা লাগে না। এটি একদম ফ্রি। শুধু আপনার কনটেন্ট মানসম্পন্ন হতে হবে, ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল গুগলের গাইডলাইন অনুযায়ী সাজানো থাকতে হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই একাউন্ট খোলার জন্য বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে। যদি আপনি ১৮ বছরের নিচে হন, তাহলে পিতামাতা বা বড় ভাই-বোনের নামে একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। গুগল এডসেন্স একাউন্ট চালু হলে গুগল আপনাকে একটি Publisher ID দিবে,
যার মাধ্যমে আপনি নিজের আয়ের হিসাব ট্র্যাক করতে পারবেন। এছাড়া আপনি কখন কোন বিজ্ঞাপন দেখাবেন, কোনগুলো ব্লক করবেন, কত টাকা আয় হচ্ছে সবকিছু আপনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তো, সব মিলিয়ে বলতে পারি গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি, তা বোঝা খুব একটা কঠিন নয়।
এটি এমন একটি মাধ্যম, যেখানে গুগল আপনার তৈরি করা কনটেন্টকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপন দেখায়, আর তার বিনিময়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করে। এটি সম্পূর্ণ বৈধ, নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী একটি অনলাইন ইনকাম সোর্স।
কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব
অনলাইন ইনকামের কথা এলেই গুগল এডসেন্সের নাম প্রথম দিকে চলে আসে। তবে অনেকেই গুগল এডসেন্সের নাম জানলেও, ঠিকভাবে বোঝেন না কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বা শুরুটা কোথা থেকে করতে হয়। যদি আপনি নিজে চেষ্টা করে এডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে চান,
তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য হাতে-কলমে একটি সহজ গাইড। প্রথমেই বলে নেই, গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য আপনার দরকার একটি কনটেন্টভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম। অর্থাৎ, আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট,
ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে যেখানে আপনি নিয়মিত কনটেন্ট (ভিডিও বা আর্টিকেল) প্রকাশ করেন, তাহলেই আপনি এডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন।
ধাপ ১: গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
আপনার একটি Gmail অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যদি না থাকে, তাহলে Google থেকে একটি ফ্রি Gmail আইডি খুলে ফেলুন। এই Gmail অ্যাকাউন্ট দিয়েই আপনি এডসেন্সে লগইন করবেন।
ধাপ ২: ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল প্রস্তুত করুন
যদি আপনি ওয়েবসাইট দিয়ে শুরু করতে চান, তাহলে WordPress বা Blogger দিয়ে একটি সাইট তৈরি করুন। সাইটে অবশ্যই About, Contact, Privacy Policy এই ৩টি পেজ থাকতে হবে। এছাড়া কমপক্ষে ১৫টি ইউনিক এবং মানসম্মত পোস্ট থাকতে হবে।
আর যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে শুরু করতে চান, তাহলে অবশ্যই ভিডিওগুলো নিজের তৈরি হতে হবে, কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ব্যবহার করবেন এবং কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম পূর্ণ করতে হবে।
ধাপ ৩: গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইটে যান
https://www.google.com/adsense এই URL এ ক্লিক করনু এবং “Get Started” বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে আপনার Gmail আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে।
ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন
আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিন, নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেমেন্ট তথ্য (যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট) দিন। ঠিকভাবে না দিলে পরে পিন যাচাইয়ে সমস্যা হতে পারে।
ধাপ ৫: কোড ইনস্টল করুন (ওয়েবসাইটের জন্য)
যদি আপনি ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করেন, তাহলে গুগল আপনাকে একটি কোড দেবে যা আপনার সাইটের <head> ট্যাগে বসাতে হবে। এটি গুগলকে বুঝতে সাহায্য করে আপনার সাইটটি আপনারই।
ধাপ ৬: রিভিউর জন্য অপেক্ষা করুন
সব ঠিকঠাক জমা দেওয়ার পর গুগল আপনার সাইট বা চ্যানেল রিভিউ করবে। সাধারণত ৭-১৪ দিনের মধ্যে তারা জানাবে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ হলো কি না।
ধাপ ৭: পিন ভেরিফিকেশন ও ব্যাংক যুক্ত করুন
অ্যাপ্রুভ পাওয়ার পর গুগল একটি পিন ডাকযোগে আপনার ঠিকানায় পাঠাবে। সেটি আপনি অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে সাবমিট করবেন। এরপর আপনি ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ/নগদ (বাংলাদেশে SWIFT ট্রান্সফার) যুক্ত করে ইনকাম তুলতে পারবেন।
এখানেই শেষ নয়। অনেকেই বলেন, “কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে হতাশ হয়ে যান। কিন্তু বাস্তবে এটা খুবই সহজ যদি আপনি ধাপে ধাপে কাজ করেন, ধৈর্য ধরে। গুগল কোনো টাকা নেয় না,
বরং আপনি যত বেশি ভিজিটর আনবেন, গুগল তত বেশি আপনাকে ইনকাম করতে সাহায্য করবে। তো, আজই শুরু করুন! হয়তো সামনের মাসেই আপনার একাউন্টে প্রথম ডলারটি জমা হতে পারে।
গুগল এডসেন্স এর কাজ কি
অনলাইনে আয় করার কথা ভাবলে সবচেয়ে বেশি যার নাম শুনতে পাওয়া যায় তা হলো “গুগল এডসেন্স”। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, গুগল এডসেন্স এর কাজ কি? অনেকেই শুধু শুনেছেন যে এটি দিয়ে আয় করা যায়, কিন্তু কীভাবে এই প্ল্যাটফর্ম কাজ করে, তা অনেকেরই স্পষ্ট নয়।
তাই আজ সহজভাবে, একেবারে বন্ধুর মতো করে বোঝাবো আসলে গুগল এডসেন্স কী কাজ করে এবং আপনি এর মাধ্যমে কীভাবে উপকৃত হতে পারেন। গুগল এডসেন্স মূলত একটি বিজ্ঞাপন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম। এটি গুগলের একটি সেবা যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন।
গুগল বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতার কাছ থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে এবং সেই বিজ্ঞাপনগুলো এমন সব কনটেন্টে দেখায় যেখানে দর্শকেরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হতে পারেন। ধরা যাক, আপনি একটি রান্নার ব্লগ লিখেছেন। এখন গুগল সেই ব্লগের কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে বুঝবে আপনার সাইটে খাবার,
রান্না বা কিচেন টুলস সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দিলে মানুষ আগ্রহী হবে। তখন গুগল এমন বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে দেখাবে। কেউ যদি সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, আপনি টাকা পাবেন। এটিই গুগল এডসেন্সের প্রধান কাজ। আরও সহজ করে বললে,
গুগল এডসেন্স একটি মধ্যস্থতাকারী একদিকে আছে বিজ্ঞাপনদাতা (যারা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করতে চান), আর অন্যদিকে আছে আপনি, মানে কনটেন্ট ক্রিয়েটর (যার ওয়েবসাইট, ইউটিউব বা অ্যাপ আছে)। গুগল দু’জনকে মিলিয়ে দেয় এবং আপনার কনটেন্টে সেই বিজ্ঞাপন দেখায়,
যাতে দু’পক্ষই লাভবান হয়। বিজ্ঞাপনদাতা প্রচার পায়, আর আপনি আয় করেন। এডসেন্সের আরেকটা দারুণ দিক হলো, এটা “Contextual Ads” ব্যবহার করে। মানে, গুগল আপনার কনটেন্ট পড়েই বুঝে কোন বিজ্ঞাপন দেখালে ইউজার বেশি আগ্রহী হবে।
যেমন, আপনি যদি প্রযুক্তি নিয়ে ব্লগ লিখেন, তাহলে গুগল সেই পোস্টে মোবাইল, ল্যাপটপ বা গ্যাজেট সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেখাবে। গুগল এডসেন্স শুধু বিজ্ঞাপন দেখায় না, বরং এটি বিজ্ঞাপন কীভাবে দেখাবে, কোথায় দেখাবে, কারা দেখবে এসবও অটোভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
ফলে আপনাকে কোনো টেকনিক্যাল কাজ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আপনি যদি ওয়েবসাইটের মালিক হন, তাহলে ব্যানার অ্যাড, ইন-আর্টিকেল অ্যাড, অটো অ্যাড ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। আবার ইউটিউবার হলে ভিডিওর আগে, মাঝখানে বা শেষে যে অ্যাড দেখা যায়,
সেগুলোও এডসেন্সের মাধ্যমেই আসে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গুগল আপনার ইনকামের একটি অংশ রেখে বাকি অংশ আপনাকে দেয়। সাধারণত গুগল ৩০% রাখে আর ৭০% দেয় আপনাকে। যেমন, কেউ যদি ১ ডলারের অ্যাডে ক্লিক করে,
আপনি পাবেন ৭০ সেন্টের মতো। সুতরাং, গুগল এডসেন্স এর কাজ কি তা এক কথায় বললে বলা যায়, এটি হলো কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য আয় উৎস যা আপনার লেখা বা ভিডিওর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে সাহায্য করে। আপনি ভালো কনটেন্ট তৈরি করুন, বাকি কাজ গুগল নিজেই সামলাবে।
গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায়
নতুন অনলাইনে কাজ শুরু করতে চাওয়া যেকোনো মানুষের মনে প্রথম যে প্রশ্নটা আসে, সেটা হলো গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এই প্রশ্নটা খুবই স্বাভাবিক এবং জরুরিও,
কারণ যে কাজ থেকে আয় হবে না, তা নিয়ে সময় দেওয়ার আগেই বাস্তবতা জানা উচিত। চলুন, আজ বাস্তব উদাহরণসহ খুব সহজ করে বিষয়টি পরিষ্কার করি।সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়।
গুগল এডসেন্স থেকে আপনার ইনকাম নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর। যেমন:
১. ট্রাফিক বা ভিজিটরের সংখ্যা
আপনার ওয়েবসাইটে বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিদিন কতজন মানুষ ভিজিট করে, সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটে দিনে ১০০০ জন ভিজিটর আসে, তাহলে গড়ে আপনি আয় করতে পারেন ১ থেকে ৫ ডলার। আর যদি দিনে ১০,০০০+ ভিজিটর আসে, তাহলে মাসে ইনকাম হতে পারে ২০০–১০০০ ডলার পর্যন্ত।
২. ভিজিটরের দেশ
আপনার কনটেন্টে কারা আসে সেটা অনেক বড় বিষয়। যেমন বাংলাদেশ বা ভারত থেকে আসা ভিজিটরের ক্লিকের মূল্য (CPC) সাধারণত কম। কিন্তু যদি ইউএস, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপ থেকে ট্রাফিক আসে, তাহলে প্রতি ক্লিকে ০.৫০ থেকে ৩ ডলার পর্যন্তও ইনকাম হতে পারে। এই কারণেই অনেকে ইংরেজি কনটেন্ট বানিয়ে “Tier 1 Countries” টার্গেট করে থাকেন।
৩. কনটেন্টের ধরন বা Niche
আপনার কনটেন্ট যদি “Insurance”, “Lawyer”, “Technology”, “Finance” টাইপের হয় তাহলে প্রতি ক্লিকের মূল্য অনেক বেশি হবে। এসব টপিকে CPC অনেক বেশি। অন্যদিকে, বিনোদন বা সাধারণ কনটেন্টের CPC তুলনামূলকভাবে কম। তাই “Niche” ঠিক করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. CTR (Click Through Rate)
আপনার সাইট বা ভিডিওতে যতবার বিজ্ঞাপন দেখায় (impressions), তার মধ্যে কতবার দর্শক ক্লিক করছে এটাই হলো CTR। CTR যদি ভালো হয় (১%-৫%), তাহলে ইনকাম বাড়ে। কম হলে ইনকামও কমে যায়।
গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
- একজন নতুন ব্লগার সাধারণত মাসে $30-$100 আয় করতে পারেন, যদি কনটেন্ট ইউনিক এবং নিয়মিত হয়
- মাঝারি ট্রাফিক থাকলে আয় হতে পারে $200-$500/month
- আর যদি আপনার ওয়েবসাইটে দিনে ১০,০০০+ ট্রাফিক থাকে এবং ট্রাফিকের গুণগত মান ভালো হয়, তাহলে আয় হতে পারে $1000 বা তারও বেশি
- ইউটিউবের ক্ষেত্রেও, যদি আপনার চ্যানেল মনিটাইজড হয় এবং নিয়মিত ভালো ভিউ আসে, তাহলে মাসে আয় হতে পারে BDT ১০,০০০ থেকে ২ লাখ পর্যন্ত, এমনকি আরও বেশি
বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলি:
বাংলাদেশে অনেকেই রয়েছেন যারা শুধু Google AdSense থেকেই মাসে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। তবে এই জায়গায় পৌঁছাতে সময় লাগে, কনটেন্টের মান রাখতে হয়, আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ধৈর্য। অতএব, যারা ভাবছেন গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায়,
তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো আপনি যত বেশি ভালো কনটেন্ট তৈরি করবেন, যত ভালো ট্রাফিক আনবেন, ইনকামও তত বেশি হবে। এর কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। কেউ আয় করে ১০ ডলার, কেউ করে ১০ হাজার ডলার সবই নির্ভর করে আপনার কাজের ধরন, মান ও স্ট্র্যাটেজির উপর।
গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হালাল না হারাম
অনেক মুসলিম ভাই-বোন অনলাইনে ইনকামের দিকে আগ্রহী হলেও একটি বিষয় নিয়ে সব সময় দ্বিধায় ভোগেন গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হালাল না হারাম? কারণ ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে আয় শুধু বৈধ হলেই হয় না, বরং সেটা হালাল ও ন্যায্য হতে হবে।
চলুন বিষয়টি স্পষ্টভাবে বোঝার চেষ্টা করি। প্রথমেই বলতে হয় গুগল এডসেন্স নিজে কোনো হারাম কাজ করে না। এটি মূলত বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়ের একটি মাধ্যম। এখানে গুগল বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে বিজ্ঞাপন নেয় এবং সেই বিজ্ঞাপনগুলো নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে দেখায়,
যেগুলোর কনটেন্ট সেই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। আপনি যদি সেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর হন, তবে আপনি সেই বিজ্ঞাপন থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ ইনকাম করেন। কিন্তু এখানে যে প্রশ্নটা আসে, সেটি হলো আপনার কনটেন্ট কী ধরনের? আপনি যদি এমন কনটেন্ট তৈরি করেন যা ইসলামিকভাবে গ্রহণযোগ্য, তাহলে সেই ইনকাম হালাল। যেমন:
- ইসলামিক ভিডিও
- শিক্ষা বিষয়ক কনটেন্ট
- রান্না, স্বাস্থ্য, ফ্যামিলি বিষয়ক কনটেন্ট
- প্রযুক্তি বা দক্ষতা বিষয়ক টিউটোরিয়াল
এই ধরনের কনটেন্ট থেকে আয় করা হালাল, যদি বিজ্ঞাপনেও কোনো হারাম জিনিস না থাকে। তবে যদি এমন হয়, আপনি যেসব ভিডিও বা ব্লগ কনটেন্ট বানাচ্ছেন সেখানে অশ্লীলতা, জুয়া, সুদের প্রচার, মদ বা হারাম প্রোডাক্টের তথ্য থাকে,
কিংবা আপনি জানেন যে আপনার ভিডিওতে এসব কিছুর বিজ্ঞাপন আসে তাহলে সেই আয় হারাম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনেকেই বলেন “আমি তো নিজে বিজ্ঞাপন দেই না, গুগল দিচ্ছে, তাহলে দোষ কোথায়?” কিন্তু আপনি যদি জানেন এবং বুঝেও কোনো ব্যবস্থা না নেন,
তাহলে সেটা আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রহণ করছেন বলেই ধরা হবে। গুগল এডসেন্স আপনাকে সুযোগ দেয় কোনো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির বিজ্ঞাপন ব্লক করার,
যেমন:
- Dating
- Gambling
- Alcohol
- Pharmaceuticals
আপনি চাইলে এসব ক্যাটাগরি আপনার একাউন্ট থেকে ব্লক করে রাখতে পারেন, যাতে আপনার কনটেন্টে কোনো হারাম বিজ্ঞাপন না আসে। গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হালাল না হারাম এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে আপনার নিয়ত, কনটেন্ট এবং বিজ্ঞাপন কনট্রোলের উপর।
আপনি যদি কনটেন্ট হালাল রাখেন, হারাম এড ব্লক করেন, এবং সৎ পথে কষ্ট করে আয় করেন তাহলে এ ইনকাম ইনশাআল্লাহ হালাল। তবে যদি আপনি হালাল-হারাম যাচাই না করে শুধু ডলার আয় করতে চান,
তাহলে সেই ইনকাম সন্দেহজনক কিংবা সম্পূর্ণ হারামও হয়ে যেতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হালাল উপার্জনের তাওফিক দিন। আমিন।
আপনি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য কোন টি বেছে নিবেন
বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে গুগল এডসেন্স একটি জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। তবে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন আপনি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য কোন টি বেছে নিবেন? কারণ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করার প্ল্যাটফর্ম একাধিক:
যেমন ওয়েবসাইট/ব্লগ, ইউটিউব, অ্যাপ ইত্যাদি। তাই চলুন, একেকটি মাধ্যমের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করে বুঝে নিই কোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হতে পারে।সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়।
১. ব্লগ/ওয়েবসাইট
যদি আপনার লেখার প্রতি আগ্রহ থাকে, তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি করতে পছন্দ করেন তাহলে ওয়েবসাইট বা ব্লগ আপনার জন্য সেরা মাধ্যম। আপনি যেকোনো একটি নির্দিষ্ট Niche (বিষয়) নিয়ে কাজ করতে পারেন যেমন:
- ইসলামিক কনটেন্ট
- প্রযুক্তি টিপস
- রান্না বা রেসিপি
- স্বাস্থ্য ও জীবনধারা
- ছাত্রদের সহায়ক টিউটোরিয়াল
সুবিধা:
- একবার পোস্ট করলে অনেকদিন ধরে ইনকাম হয়
- SEO করলে গুগলে র্যাংক হয়, ভিজিটর বাড়ে
- নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করা যায়
- কপি কনটেন্ট এড়িয়ে চললে সহজে AdSense অ্যাপ্রুভ হয়
চ্যালেঞ্জ:
- প্রথম দিকে ট্রাফিক আনতে সময় লাগে
- লিখতে সময় ও ধৈর্য লাগে
- প্রযুক্তিগত সেটিংস শিখতে হয়
২. ইউটিউব চ্যানেল
যদি আপনি ভিডিও বানাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, নিজের কণ্ঠ বা মুখ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারেন তাহলে ইউটিউব হতে পারে দারুণ একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি যেমন পারেন
- ইসলামিক আলোচনা
- রিভিউ ভিডিও
- টিউটোরিয়াল
- শর্টস
- Vlog
সুবিধা:
- দ্রুত ভিউ পেলে ইনকাম শুরু হয়
- ভাইরাল হলে রাতারাতি ইনকাম বাড়ে
- লাইভ স্ট্রিমিং, সুপারচ্যাট ইত্যাদি থেকেও আয় হয়
চ্যালেঞ্জ:
- ভিডিও এডিটিং জানতে হয়
- ক্যামেরার সামনে কথা বলার সাহস লাগবে
- ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার না হলে মনিটাইজেশন হয় না
৩. মোবাইল অ্যাপ (Play Store)
আপনি যদি একজন অ্যাপ ডেভেলপার হন বা কোডিং শিখে থাকেন, তাহলে Android অ্যাপ তৈরি করে গুগল এডসেন্স (AdMob) যুক্ত করে ইনকাম করতে পারেন। যেমন:
- ইসলামিক নামায অ্যাপ
- পিডিএফ বুক অ্যাপ
- মেডিটেশন বা সময়সূচি অ্যাপ
সুবিধা:
- প্রতিদিন হাজার হাজার ডাউনলোড থেকে ইনকাম হয়
- ব্যানার ও রিওয়ার্ড অ্যাড ব্যবহার করা যায়
চ্যালেঞ্জ:
- অ্যাপ বানাতে কোডিং জানতে হয়
- Google Play Console একাউন্টে ফি লাগে
- অ্যাপ রিভিউ পেতে সময় লাগে
আপনি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য যে মাধ্যমই বেছে নিন না কেন, সেখানে আপনাকে শ্রম দিতে হবে, ধৈর্য ধরে মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত হতে হবে। তখনই আপনি আয় করতে পারবেন দীর্ঘমেয়াদে এবং হালাল পথে ইনশাআল্লাহ।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে সহজে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।
আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করে আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ
সুন্দরওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url