কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবো দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়

কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবো দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আজকের আমাদের মূল আলোচনা। পাশাপাশি, আপনাদের জন্য আরও রয়েছে গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় এবং চিঠি কিভাবে হাতে পাবেন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধ তথ্যাবলী।
কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবো দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়
তাই, আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, যাতে আপনি দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সকল প্রয়োজনীয় ও বিস্তারিত তথ্য সহজেই বুঝতে পারেন।

কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবো দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক গুগল এডসেন্স আসলে প্রতিটি নতুন ব্লগারের স্বপ্নের জায়গা এক খথায় বলতে গেলে Dream বললেই চলে। বাংলাদেশের অনেকেই ভাবে “আমি কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবো দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় কি? কারণ সবার ইচ্ছা অনলাইন থেকে বৈধ, ভালো আয় করা। 

আসলে এডসেন্স পেতে খুব বেশি রকেট সায়েন্স নেই, তবে গুগলের কিছু শর্ত মানতে হবে। প্রথমেই দরকার মানসম্মত ইউনিক কনটেন্ট যেগুলো কন্টেন্ট গুগলে সার্চ হয় বেশি। গুগল কপি-পেস্ট করা লেখা কোনোভাবেই পছন্দ করে না এটা তো করাই যাবে না ভুলেও না। 

নিজের ভাষায়, নিজের স্টাইলেই ব্লগপোস্ট তৈরি করতে হবে। সেটা হতে পারে ইনফরমেটিভ আর্টিকেল, গাইড রিলেটেড, রিভিউ রিলেটেড ইত্যাদি কিন্তু সব কিছুতেই আসল মান দিতে হবে ইউনিক হতে হবে। দ্রুত এডসেন্স এপ্রুভ পাওয়ার জন্য দরকার ওয়েবসাইটের একদম প্রফেশনাল সেটআপ।

থিমটা যেন রেসপন্সিভ হয়, মেনু ক্লিন হয়, About/Contact/Privacy Policy পেজ থাকে। এগুলো না থাকলে এডসেন্স এপ্রুভাল প্রায় অসম্ভব। যারা “দ্রুত” এডসেন্স পেতে চান, তাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো SEO। 

লেখা যদি সার্চ ফ্রেন্ডলি না হয়, গুগল বুঝবে না যে এটা ভিজিটরদের উপকারে আসে। তাই সহজ ভাষায়, ক্লিয়ার হেডিং-সাবহেডিং, প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করে লেখা লিখতে হবে। আরেকটা ভুল যেটা সবাই করে – ২–৩ টা লেখা দিয়েই এডসেন্সের জন্য আবেদন করে। 

১০–১৫ টা ভালো লেখা ছাড়া চেষ্টা করাই উচিত না। প্রত্যেকটা লেখা যেন কমপক্ষে ১০০০–১৫০০ শব্দের হয় – এটা গুগলের কাছে প্রমাণ করে যে ওয়েবসাইট সিরিয়াস। একটা গুরুত্বপূর্ণ টিপ হচ্ছে – ওয়েবসাইটে স্প্যাম, অযথা পপ-আপ এড, ভাঙা লিঙ্ক – এগুলো রিমুভ করতে হবে। 

ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভালো না হলে গুগল এপ্রুভ করবে না। SSL সার্টিফিকেটও খুব দরকার – ওয়েবসাইট HTTPS না হলে গুগল সন্দেহ করে সাইটের নিরাপত্তা নিয়ে। এছাড়া লোডিং স্পিড ভালো রাখতে হবে। 

সবশেষে, গুগল যখন রিভিউ করবে, তখন দেখতে চায় – এই ওয়েবসাইট আসলেই কি ইউজারদের উপকার করে? কপি করা লেখা নয়? কোনো Copyright সমস্যা নেই তো? দ্রুত এপ্রুভের জন্য আরেকটা টিপ – ওয়েবসাইটে কিছু অর্গানিক ট্রাফিক থাকলে ভালো হয়। 

ফেসবুক শেয়ার করে বা পরিচিতদের দিয়ে কিছু ভিজিট করানোও কাজ করে। সব মিলিয়ে বললে, “কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবো দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়” – এর সেরা উত্তর হচ্ছে – ইউনিক, মানসম্মত লেখা, ক্লিন ওয়েবসাইট, নীতি মেনে চলা আর ইউজারদের জন্য বাস্তব সহায়তা। এবং চেষ্টা করবেন মান সম্মত কন্টেন্ট লিখার।

আপনাদের বোঝার সুবিধার্তে নিচে পয়েন্ট আকারে দিলাম :
  • Always Try Korben ইউনিক, নিজের লেখা কন্টেন্ট তৈরি করতে (১০–১৫ পোস্ট)
  • থিম/ডিজাইন রেসপন্সিভ আর ক্লিন রাখতে হবে
  • SSL (HTTPS) ব্যবহার Must Be
  • About, Contact, Privacy Policy পেজ তৈরি করতে হবে
  • স্প্যাম, পপ-আপ, ভাঙা লিঙ্ক রিমুভ করতে হবে
  • ১০০০–১৫০০ শব্দের ইনফরমেটিভ লেখতে হবে
  • SEO-ফ্রেন্ডলি টাইটেল, ডিসক্রিপশন, Alt টেক্সট
  • অর্গানিক ট্রাফিক আনো (ফেসবুক, শেয়ার)
  • গুগল এডসেন্স পলিসি মেনে চলতে হবে
  • ধৈর্য ধরে রিভিউ ওয়েট করতে হবে ১–১৫ দিনের মধ্যে এপ্রুভ হয়ে
আশা করি উপোরোক্ত বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন। কোন কিছু বুঝতে যদি সমস্যা বোধ হয় তাহলে কমেন্ট করে যানাবেন আমরা আপনাকে সহোযোগিতা করবো ।

গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় এবং চিঠি কিভাবে হাতে পাবেন

গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট খোলা আসলে কিন্ত কঠিন কোন বিষয় না, একদম যারা নতুন এ বিষয়ে হালকা নলেজ আছে তাদের শুরুর প্রক্রিয়াটা স্পষ্ট করে না বুঝলে ঝামেলা হয়। অনেকেই ভাবে শুধু সাইন আপ করলেই হবে, আসলেই কিন্তু তা নয়। 

গুগল এডসেন্স হলো গুগলের নিজের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যেটা ব্যবহার করে তুমি নিজের ওয়েবসাইটে অ্যাড বসিয়ে ইনকাম করতে পারবে। তবে এডসেন্স এমনিতেই অ্যাপ্রুভাল দেয় না। এজন্য কিছু শর্ত ও ধাপ আছে যা ঠিকমতো পূরণ করতে হবে।

প্রথমেই তোমাকে দরকার হবে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ। এই ওয়েবসাইটে মানসম্মত, ইউনিক, নীতি-সম্মত লেখা থাকতে হবে। অন্তত ১০–১৫ টা ভালো মানের পোস্ট থাকতে হবে, যেগুলো একদম নিজের ভাষায় লেখা। কপি-পেস্ট করলে গুগল সাথে সাথে বাতিল করে দেয়। 

গুগল এর নীতি অনুযায়ী ওয়েবসাইটে About Us, Contact Us, Privacy Policy পেজ থাকা বাধ্যতামূলক। এগুলো ছাড়া আবেদন করলেই রিজেক্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যখন ওয়েবসাইট মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে যাবে, তখন AdSense.com-এ গিয়ে তোমাকে সাইন আপ করতে হবে। 

গুগল অ্যাকাউন্টে লগইন করে সহজেই সাইন আপ ফর্ম পূরণ করা যায়। ফর্মে সাইটের ঠিকানা, নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি খুব ভালো করে লিখবে – যেন কোনো ভুল না থাকে। ভুল ঠিকানা দিলে পরের ধাপে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়বে – PIN চিঠি হাতে পাবে না। 

সাইন আপ করার পরে গুগল তোমাকে একটি ভেরিফিকেশন কোড দেবে। সেটা তোমার সাইটের হেড অংশে বসাতে হবে। এর মাধ্যমে গুগল নিশ্চিত হয় যে সাইটটা আসলেই তোমার। অনেকেই এখানে গাফিলতি করে – কোড বসানো ভুল হয়, ফলে রিভিউ আটকে যায়। 

সঠিকভাবে কোড বসানো হলে গুগল বট ওয়েবসাইট স্ক্যান করে দেখে নীতি-সম্মত কিনা, কনটেন্ট ভালো কিনা। সব ঠিক থাকলে ১–১৫ দিনের মধ্যে এডসেন্স অ্যাপ্রুভ হয়ে যায়। এবার আসল বিষয় – চিঠি। গুগল এডসেন্সের নীতি অনুযায়ী প্রথম ১০ ডলার আর্ন করলেই তোমার দেওয়া ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠাবে। 

এটা এড্রেস ভেরিফিকেশনের জন্য। চিঠির মধ্যে থাকবে একটি ৬ সংখ্যার PIN কোড। বাংলাদেশে এই চিঠি সাধারণ ডাকঘর বা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আসে, এবং ২–৬ সপ্তাহ সময় লাগে। যখন চিঠি হাতে পাবে, সেই PIN কোড তোমার এডসেন্স একাউন্টে লগইন করে নির্দিষ্ট জায়গায় বসাবে। 

এটিই ঠিকানা ভেরিফিকেশন। অনেকেই ভাবেন এই ধাপ বাদ দিয়ে যাবে – কিন্তু না। ঠিকানা ভেরিফাই না করলে গুগল কোনো পেমেন্ট ছাড়ে না। 

এডসেন্স অ্যাকাউন্ট একবার ঠিকমতো খুলে গেলে এবং ঠিকানা ভেরিফাই হয়ে গেলে পরের ধাপ খুব সহজ – ব্যাংক একাউন্ট বা রিমিট্যান্স সেটাপ করে সরাসরি ইনকাম নেওয়া যায়। এখানে অবশ্যই নিজের নামে সঠিক ব্যাংক একাউন্টের তথ্য দিতে হবে।

স্টেপ আকারে দিলাম নিচে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ
  • নিজের ওয়েবসাইট/ব্লগ তৈরি করতে হবে
  • ইউনিক, নীতি-সম্মত ১০–১৫+ পোস্ট লেখতে হবে
  • About, Contact, Privacy Policy পেজ যোগ করতে হবে
  • গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে AdSense.com-এ সাইন আপ করতে হবে
  • নিজের নাম, ঠিকানা স্পষ্টভাবে লেখা
  • গুগলের কোড সাইটে বসানো
  • রিভিউয়ের জন্য ওয়েট করা
  • ১০$ আর্ন হলে PIN চিঠি ডাকঘরে আসবে
  • PIN কোড একাউন্টে বসিয়ে ঠিকানা ভেরিফাই করতে হবে
  • পেমেন্ট সেটআপ করতে মানে ব্যাংক একাউন্ট এড করতে হবে
সবশেষে বলব – গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় এবং চিঠি কিভাবে হাতে পাবেন – এই পুরো প্রক্রিয়ায় ধৈর্য ও সতর্কতা সবচেয়ে বড় বিষয়। যদি তুমি সব ঠিকমতো করো, তবে এই প্রক্রিয়া খুবই সিম্পল আর একবার হলে সারাজীবনের আয়ের রাস্তা খুলে যায়।

দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৫

বাংলাদেশের নতুন ব্লগারদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন – গুগল এডসেন্স পাওয়া, তাও দ্রুত! ২০২৫ সালে এসে গুগল এডসেন্সের রুল অনেক কড়াকড়ি হলেও, একটু বুদ্ধি করে কাজ করলে “দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৫” খুঁজে বের করা একদম সম্ভব। 

সবচেয়ে আগে মাথায় রাখবে – গুগল এডসেন্স টাকা ছড়িয়ে দেয়ার মেশিন না। ওদের নিজের রেপুটেশন, ইউজার সেফটি – সবকিছুর ব্যাপারে খুব সচেতন। এডসেন্স আসলে গুগলের ব্যবসা – ওরা চায় মানসম্মত ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন বসিয়ে ভালো ফল পেতে। 

২০২৫ সালে দ্রুত এডসেন্স পেতে প্রথম কাজ – তোমার ওয়েবসাইটকে প্রফেশনাল ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি বানানো। যেটা অনেকেই ভুল করে – একদম সস্তা থিম, ব্যানার, পপআপ অ্যাডে ভরিয়ে ফেলে – গুগল এসব দেখলেই রিজেক্ট করে। 

তোমার সাইটের ডিজাইন যেন রেসপন্সিভ হয়, মোবাইল ও ডেস্কটপ দুই জায়গাতেই দারুণ কাজ করে।  দ্বিতীয় কাজ – কনটেন্ট। এখন AI লেখা খুব সহজ হয়েছে, তাই অনেকেই কপি-পেস্ট বা স্পিন কনটেন্ট দিয়ে চেষ্টা করে। 

২০২৫ সালে গুগলের অ্যালগরিদম আরও স্মার্ট হবে – এআই লেখা, স্পিন লেখা আলাদা করে চিনতে পারবে। তাই নিজের ভাষায় লেখা, আসল অভিজ্ঞতা, নিজস্ব টোন – এই জিনিস গুগল পছন্দ করে। প্রতি পোস্টে ১০০০–১৫০০ শব্দের বিস্তারিত লেখা থাকবে – যেন ইউজার সত্যিই উপকৃত হয়। 

লিখতে হবে সহজ ভাষায়, কিন্তু তথ্যবহুল, ভালো স্ট্রাকচার নিয়ে – হেডিং, সাবহেডিং, প্যারাগ্রাফ। তৃতীয় কাজ – ওয়েবসাইটের শর্তগুলো ঠিক করা। About Us, Contact Us, Privacy Policy পেজ না থাকলে এডসেন্স রিভিউতেই আটকাবে। 

এগুলো থাকলে গুগল বুঝবে – ওয়েবসাইট আসলেই বৈধ। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস – SSL সার্টিফিকেট। মানে HTTPS প্রোটোকল। এখন গুগল এডসেন্স এটা না থাকলে এপ্রুভ করে না।

এটা সাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়া তোমার সাইটের লোডিং স্পিড ভালো রাখতে হবে। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স খুব জরুরি – পেজ তিন সেকেন্ডের মধ্যে লোড হবে এমন রাখা বেস্ট।

দ্রুত এডসেন্স পাওয়ার সেরা কিছু ট্রিক্স দিলাম
  • নিজের ভাষায়, ইউনিক, ১০–২০ ভালো পোস্ট লিখবে
  • প্রতিটি পোস্ট হবে ১০০০–১৫০০ শব্দের
  • থিম/ডিজাইন হবে রেসপন্সিভ ও ক্লিন
  • SSL/HTTPS সাইট সিকিউর করবে
  • About, Contact, Privacy Policy পেজ অবশ্যই থাকবে
  • Alt Text, SEO টাইটেল, মেটা ডিসক্রিপশন ঠিকমতো বসাবে
  • পপআপ, স্প্যাম, ভাঙা লিঙ্ক রিমুভ করবে
  • সাইটের লোডিং স্পিড ভালো রাখবে
  • কিছু অর্গানিক ট্রাফিক আনবে
  • গুগল এডসেন্সের নীতি পুরোপুরি মেনে চলবে
ট্রাফিক! গুগল দেখে তোমার সাইটে মানুষ আসছে কিনা। কিছু অর্গানিক ট্রাফিক থাকলে গুগল বুঝবে – এই সাইট আসলেই ইউজারদের উপকারে আসছে। তাই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, নিজের কমিউনিটি – সব জায়গায় শেয়ার করে কিছু ভিজিটর আনো। 

সবমিলিয়ে “দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৫” বলতে গেলে – মানসম্মত লেখা, ইউজার-ফ্রেন্ডলি ডিজাইন, নিরাপদ ওয়েবসাইট, ভালো ট্রাফিক – এই ফোরmula ফলো করলেই কাজ হবে। জাদু কিছু নেই – ধৈর্য, মান, আর সঠিক পদ্ধতি।

গুগল এডসেন্স কি বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে

অনেক বাংলাদেশি নতুন ব্লগার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মনে একটা প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায় – “গুগল এডসেন্স কি বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে?” আসলেই তো সবাই চায় নিজের মাতৃভাষায় লিখে ইনকাম করতে। খুশির খবর হলো, হ্যাঁ – গুগল এডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে। 

গুগলের অফিসিয়াল ভাষার তালিকায় বাংলা অন্তর্ভুক্ত আছে। এর মানে, বাংলায় লেখা ওয়েবসাইটেও গুগল বিজ্ঞাপন দেবে। তবে “সাপোর্ট করে” আর “অ্যাপ্রুভাল পাওয়া” – এই দুই জিনিস আলাদা। গুগল সব ভাষার জন্যই একই মানদণ্ড মেনে চলে। 

বাংলা ব্লগে লিখলে গুগল ছাড় দেবে এমন কিছু নেই। বরং অনেক সময় বাংলা ব্লগাররা কিছু ভুল করে যেগুলো ঠিক না করলে এপ্রুভ পাওয়া কঠিন হয়। প্রথম ভুল – কপি-পেস্ট লেখা। গুগল এখন খুব স্মার্ট। অন্যের লেখা কপি করে দিলেই রিজেক্ট। 

বাংলা ভাষার কনটেন্ট হলেও গুগল ইউনিকনেস খুঁজে। তাই নিজের ভাষায়, নিজের স্টাইলে, একদম নতুন করে লেখা দরকার। দ্বিতীয় ভুল – “অপূর্ণ সাইট”। বাংলা ব্লগারদের মধ্যে অনেকেই সাইট বানিয়ে দুই–তিনটা লেখা দিয়ে এডসেন্সের জন্য আবেদন করে। 

এতে গুগল বুঝে যায় এই ওয়েবসাইট আসলে সিরিয়াস না। গুগল চায় ওয়েবসাইটে অন্তত ১০–২০ টা মানসম্মত লেখা থাকুক। প্রতিটি লেখা যেন ১০০০–১৫০০ শব্দের হয়। তৃতীয় ভুল – ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্সে অবহেলা করা। বাংলা ব্লগারদের অনেকেই সাইটের ডিজাইন গরিব মানের রাখে।

ব্যাকগ্রাউন্ড নষ্ট, লেখা পড়া যায় না, পপআপ এডে ভরে রাখা – এগুলো এডসেন্স একেবারেই সহ্য করে না। আরেকটা বিষয় – পলিসি পেজ। About Us, Contact Us, Privacy Policy – এগুলো ছাড়া কোনো ভাষার ব্লগেই এডসেন্স অ্যাপ্রুভ হয় না। বাংলা ব্লগে লেখাই হোক – এই পেজগুলো অবশ্যই দরকার।

একটা সুবিধা – বাংলা ভাষায় প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম। এর মানে – ভালো লেখা দিলে সহজে র্যাঙ্ক হয়। ফলে এডসেন্সও আগ্রহী হয় এই রকম কনটেন্টে বিজ্ঞাপন দিতে। আর গুগল বাংলাভাষী মার্কেটকেও এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের ইউজার সংখ্যা অনেক বড়। 

তাই গুগল নিজে চায় বাংলা ব্লগাররা কোয়ালিটি কনটেন্ট দিক। “গুগল এডসেন্স কি বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে?” – একদম সাপোর্ট করে। কিন্তু শর্তগুলো সবার জন্য এক – ইউনিক, অরিজিনাল, নীতি-সম্মত লেখা, ইউজার-ফ্রেন্ডলি সাইট, ভালো ডিজাইন। 

তাই যদি তুমি নিজের ভাষায় লিখে ইনকাম করতে চাও – গুগল এডসেন্স তোমার জন্য উন্মুক্ত। শুধু ঠিকমতো বানিয়ে, গুগলের শর্ত মেনে চলো। ইনশা’আল্লাহ এপ্রুভ হবে।

বাংলা ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভের জন্য দরকার
  • গুগলের অফিসিয়াল সাপোর্টেড ভাষা – বাংলা
  • ইউনিক, অরিজিনাল, ১০–২০ পোস্ট (১০০০–১৫০০ শব্দ)
  • রেসপন্সিভ, ক্লিন, মোবাইল ফ্রেন্ডলি থিম
  • About, Contact, Privacy Policy পেজ অবশ্যই থাকতে হবে
  • HTTPS/SSL সাইট সিকিউরিটি
  • Alt টেক্সট, SEO টাইটেল, মেটা ডিসক্রিপশন ঠিকমতো বসানো
  • স্প্যাম, পপআপ, ভাঙা লিঙ্ক রিমুভ করা
  • ইউজার-ফ্রেন্ডলি ন্যাভিগেশন
  • কিছু অর্গানিক ট্রাফিক এনে আবেদন করা
  • গুগল এডসেন্সের নীতি পুরোপুরি মেনে চলা
গুগল এডসেন্স কি বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে?” – একদম সাপোর্ট করে। কিন্তু শর্তগুলো সবার জন্য এক – ইউনিক, অরিজিনাল, নীতি-সম্মত লেখা, ইউজার-ফ্রেন্ডলি সাইট, ভালো ডিজাইন। তাই যদি তুমি নিজের ভাষায় লিখে ইনকাম করতে চাও – গুগল এডসেন্স তোমার জন্য উন্মুক্ত। শুধু ঠিকমতো বানিয়ে, গুগলের শর্ত মেনে চলো। ইনশা’আল্লাহ এপ্রুভ হবে।

গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়

গুগল এডসেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে অনেক নতুন ব্লগার দ্বিধায় থাকে। “গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়?” – এটা শোনামাত্র অনেকে ভাবে এটা খুব জটিল কোনো টেকনিক্যাল ব্যাপার। আসলে প্রক্রিয়াটা একদম সহজ, শর্তগুলো জানলে যে কেউ করতে পারবে। 

প্রথমেই বুঝে রাখো – গুগল এডসেন্স কোনো মজা নয়। গুগল এটা দিয়ে নিজের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক চালায়। তাই তারা এমন কোনো ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেয় না যেটা মানহীন, নীতিমালা না মানা, বা কপিরাইট আইন ভাঙে। 

তোমার প্রথম কাজ – ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করা। সাইট হবে ইউনিক কন্টেন্টের জন্য। নকল লেখা, কপি-পেস্ট, বা স্পিন কন্টেন্ট চলবে না। এডসেন্স এখন এত স্মার্ট যে AI লেখা আর স্পিন লেখা আলাদা করে চিনে ফেলে। ওয়েবসাইটে অন্তত ১০–২০ টা ভালো মানের লেখা থাকা দরকার। 

প্রতিটি পোস্ট হবে ১০০০–১৫০০ শব্দের – যাতে গুগল দেখে এই সাইট সিরিয়াস, ইউজারদের জন্য কিছু ভ্যালু দিচ্ছে। এডসেন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত – নীতিমালা পেজ। তোমার সাইটে About Us, Contact Us, Privacy Policy পেজ অবশ্যই থাকতে হবে। 

এগুলো ছাড়াই এডসেন্সের জন্য আবেদন করলে ৯৯% রিজেক্ট হবে। সব ঠিকমতো সেটআপ হয়ে গেলে এবার AdSense.com-এ যাবে। গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করবে। এরপর নিজের সাইটের URL বসাবে। এরপর তোমার নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর সঠিকভাবে দিবে। 

এটা অনেকেই ভুল করে – ঠিকানা ভুল দিলে পরে PIN চিঠি আসবে না। গুগল তারপর তোমাকে একটি HTML কোড দেবে। এটা তোমার সাইটে বসাতে হবে। এই কোড গুগলকে প্রমাণ করে – ওয়েবসাইট আসলেই তোমার। কোড ঠিকমতো না বসালে রিভিউ আটকে যাবে। 

কোড বসানোর পর গুগল রিভিউ করে – তোমার লেখা, থিম ডিজাইন, পলিসি পেজ সব দেখে। যদি সব ঠিক থাকে, তারা এপ্রুভ করে। এই রিভিউ ১–১৫ দিনের মধ্যে হয়। এপ্রুভ হয়ে গেলে তুমি সাইটে এড বসাতে পারবে। কিন্তু শেষ ধাপ বাকি থাকে – PIN ভেরিফিকেশন। 

যখন তোমার এডসেন্স ইনকাম ১০$ হবে, গুগল তোমার ঠিকানায় একটি PIN চিঠি পাঠাবে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এই চিঠি আসবে, ২–৬ সপ্তাহ সময় লাগে। চিঠিতে থাকা ৬ সংখ্যার কোড একাউন্টে বসালে ঠিকানা ভেরিফাই হবে। ঠিকানা ভেরিফাই হয়ে গেলে গুগল পেমেন্ট মুক্ত করে। তখন তুমি নিজের ব্যাংক একাউন্ট যোগ করে ইনকাম তুলতে পারবে।

এডসেন্স একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ
  • ইউনিক, নীতি-সম্মত কন্টেন্ট সহ ওয়েবসাইট তৈরি করা
  • ১০–২০ টা ভালো পোস্ট (১০০০–১৫০০ শব্দ) লেখা
  • About, Contact, Privacy Policy পেজ রাখা
  • মোবাইল ফ্রেন্ডলি, রেসপন্সিভ থিম ব্যবহার করা
  • SSL/HTTPS সাইট সিকিউর করা
  • AdSense.com-এ গিয়ে সাইন আপ করা
  • নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর সঠিকভাবে লেখা
  • গুগলের দেওয়া কোড সাইটে বসানো
  • গুগল রিভিউ করবে (১–১৫ দিন)
  • এপ্রুভ হলে এড বসানো শুরু
  • ১০$ আর্ন হলে PIN চিঠি ডাকঘরে আসা
  • PIN কোড দিয়ে ঠিকানা ভেরিফাই করা
  • ব্যাংক একাউন্ট সেট করে পেমেন্ট তোলা
গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়? – খুব সহজ, শর্তগুলো মানলেই হবে। ইউনিক লেখা, ইউজার-ফ্রেন্ডলি ডিজাইন, সঠিক ঠিকানা, পলিসি পেজ – সব ঠিক থাকলে ১০০% সম্ভব।

কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব হতভাগা

ভাই, অনেকেই মজা করে বা হতাশ হয়ে বলে – “দোস্ত, কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব হতভাগা?” – শুনলেই হাসি পায়! কারণ সত্যি বলতে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলা কোনো রকেট সায়েন্স নয়, তবে কিছু ধাপ আর শর্ত মানতে হয়। 

সবচেয়ে বড় ভুল যেটা নতুনরা করে – ভাবে আজকে ব্লগ বানিয়ে, কালকে এডসেন্স এপ্রুভ হবে। আর এই আশা থেকে যখন রিজেক্ট হয় তখন বলে – “হতভাগা হইলাম!” আসলে গুগল কখনোই এমন সস্তা কনটেন্টে এড দেয় না – তারা চায় ইউজারদের উপকার হবে এমন সাইট। 

তো শোনো ভাই – প্রথম কাজ - তোমার নিজের একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ বানানো। এটা হতে হবে ইউনিক কনটেন্টের জন্য। কপি-পেস্ট করলে কোনো দিন এপ্রুভ হবে না। এখন গুগল এত স্মার্ট যে অন্যের লেখা ১ সেকেন্ডেই চিনে ফেলে। 

ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ১০–২০ টা মানসম্মত লেখা দরকার। প্রতিটি লেখা হবে ১০০০–১৫০০ শব্দের। খালি দুই লাইনের পোস্ট দিলে চলবে না। লিখতে হবে এমনভাবে যেন পাঠক কিছু শিখে বা উপকার পায়। দ্বিতীয় কাজ – ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করা। 

থিম হবে মোবাইল ফ্রেন্ডলি, রেসপন্সিভ। অনেকেই সস্তা ডিজাইন রেখে এডসেন্সে আবেদন করে – ফল রিজেক্ট। গুগল চায় ইউজার-ফ্রেন্ডলি সাইট। তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ শর্ত – About Us, Contact Us, Privacy Policy পেজ। এগুলো ছাড়া এডসেন্সে আবেদন করাই বৃথা। 

গুগল দেখে – ওয়েবসাইট কি আসলেই পেশাদার, নাকি শুধু এডের জন্য বানানো। সব ঠিক থাকলে এবার যাবে AdSense.com-এ। গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ ইন করবে। এরপর সাইটের ঠিকানা, নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর একদম স্পষ্ট করে দিবে। 

ঠিকানা ভুল দিলে পরে PIN চিঠি আসবে না। সাইন আপের পর গুগল তোমাকে একটি কোড দেবে – সেটি তোমার ওয়েবসাইটের হেডারে বসাবে। এটা প্রমাণ করে সাইটটা তোমার। অনেকেই এখানে ভুল করে কোড বসাতে পারে না – এতে রিভিউ আটকে যায়। 

গুগল রিভিউ করে সব কিছু দেখে – লেখা, থিম, ন্যাভিগেশন, পলিসি পেজ। সব ঠিক থাকলে ১–১৫ দিনের মধ্যে এপ্রুভ করে। কিন্তু মজা এখানেই শেষ নয় – PIN ভেরিফিকেশন বাকি। যখন এডসেন্সে ১০$ আর্ন হবে, গুগল তোমার ঠিকানায় চিঠি পাঠাবে। 

সেই চিঠি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ২–৬ সপ্তাহে আসে। চিঠির মধ্যে থাকবে ৬ সংখ্যার কোড। এই PIN কোড একাউন্টে বসিয়ে ঠিকানা ভেরিফাই করতে হবে। PIN ভেরিফাই হয়ে গেলে তুমি ব্যাংক একাউন্ট যোগ করে টাকা নিতে পারবে।

এডসেন্স একাউন্ট খোলার সহজ উপায় নিচে স্টেপ আকারে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছেঃ
  • ইউনিক, মানবীয় ভাষায় ১০–২০ টা মানসম্মত পোস্ট
  • প্রতিটি পোস্ট ১০০০–১৫০০ শব্দের লেখা
  • মোবাইল ফ্রেন্ডলি, রেসপন্সিভ থিম ব্যবহার
  • SSL/HTTPS সাইট সিকিউরিটি
  • About Us, Contact Us, Privacy Policy পেজ অবশ্যই থাকতে হবে
  • AdSense.com-এ সাইন আপ করা
  • নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর স্পষ্টভাবে দেওয়া
  • গুগলের দেওয়া কোড সাইটে বসানো
  • রিভিউয়ের জন্য ওয়েট করা (১–১৫ দিন)
  • এপ্রুভ হলে এড বসানো শুরু
  • ১০$ আর্ন হলে PIN চিঠি আসা
  • PIN কোড দিয়ে ঠিকানা ভেরিফাই করা
  • ব্যাংক একাউন্ট সেট করে পেমেন্ট তোলা
হতভাগা না হয়ে বুদ্ধি খরচ করো। গুগল ফ্রি টাকা ছড়ায় না। ওরা চায় ইউজারদের উপকার হবে এমন সাইট। যদি তুমি মানসম্মত, ইউনিক কনটেন্ট, সুন্দর ডিজাইন, সঠিক ঠিকানা – সব ঠিক রাখো, তাহলে এডসেন্স একাউন্ট খোলা একদম সহজ!

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবো দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়  সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করে আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবো দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সুন্দরওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url